অনুচ্ছেদ “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহন করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বিপ্লবী ও দূরদর্শী মনোভাবাপন্ন। যেখানেই অন্যায় অত্যাচার দেখতেন সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করতেন। তাঁর এই মহান চারিত্রিক গুণটির জন্যই আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যেমন ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র তেমনি জাতীয় জীবনেও ছিলেন ধূমকেতুর মতো বেগবান। তিনিই সর্বপ্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। তাঁর প্রণীত ৬ দফা বাঙালিকে স্বাধীতার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ এ বাঙালি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই পাক শসকগোষ্ঠীর নানা অত্যাচার ও নির্যাতনেও দমে যাননি। বরং সারাজীবন বাঙালির পক্ষে দাবি নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনে ,‘৬৬-এর গণ-অভ্যুত্থান,‘৭০-এর নির্বাচন, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ সবকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি তাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দেখিয়েছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অগ্নি স্ফুলিঙ্গের উৎসারণ আমরা তাঁর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা ভাষণে দেখতে পাই। যার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়। জাতি-ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাঁর আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যার চূড়ান্ত পরিণতি বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। সর্বোপরি, বাঙালি জাতির অধিকার এবং স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতবার যে করাবরণ এবং নির্যাতন সহ্য করেছেন তার ইয়ত্তা নেই । আর এজন্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই ধারায় প্রবহমান।
Share This Post