অনুচ্ছেদ “শিশু অধিকার”
শিশু অধিকার
‘অধিকার’ বলতে কিছু পাওয়ার নৈতিক বা আইনগত দাবিকে নির্দেশ করে। যে সকল অধিকার বিশেষভাবে শিশুদের সাথে সম্পর্কযুক্ত সে গুলোকে শিশু অধিকার বলা হয়। জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন শিশুদের কিছু মৌলিক অধিকার চিহ্নিত করেছে। কনভেনশন অনুসারে শিশুদের সকল ধরণের হুমকি থেকে রক্ষা পাবার , বেঁচে থাকা এবং অস্তিত্ব বজায় রাভার , শিক্ষার এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকার দেকে হবে। এ ছাড়া তাদের রয়েছে সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং শ্রমে বাধ্য না হওয়ার অধিকার। কি›তু আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশু এই অধিকারগুলো পায় না। এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। এ প্রধান কারণ হচ্ছে দরিদ্র্য। বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তাই দরিদ্র্য পরিবারেরর শিশুরা খুব অল্প বয়সেই কাজ করতে বাধ্য হয়। ফলে তারা আইনগত অধিকারগুলো ভোগ করতে পারে না। এ ছাড়া ।অধিকাংশ শিশু বস্তিতে খুব অস্বস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে। কখনো কখনো তারা কাজ করতে বাধ্য হয়। কিছু অসৎ মানুষ শিশুদের সস্তা শ্রমকে কাজে লাগায় । মানুষের নিরক্ষরতা হচ্ছে শিশুদের অধিকার হরণের আরেকটি প্রধান কারণ। নিরক্ষর লোকজন এসব অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞ। এ সকল পরিবারের শিশুরা তাদের প্রাপ্য অধিকার ভোগ করতে পারে না। শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। তাই আমাদেরকে অবশ্যই শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশু নির্যাতরেনর বিরুদ্ধে প্রণীত আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। সর্বোপরি, শিশুদের অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন আবশ্যক।
Share This Post