অনুচ্ছেদ “স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল”
স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল
আমরা বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বাস করি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ অনেক বিস্ময়কর যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এগুলোর মধ্যে একটি অভিনব আবিষ্কার হচ্ছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন। অনেকের কাছে এটি আকাশ সংস্কৃতি নামেও পরিচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। টেলিভিশনের অুনষ্ঠানসমূহ বিনোদনমূলক ও শিক্ষনীয়। বর্তমান টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্যাটেলাইট তথা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোকে বলা হয় স্যাটেলাইট চ্যানেল। বস্তুত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। এর সাহায্যে আমরা সারা বিশ্বের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো উপভোগ করতে পারি। স্যাটেলাইট চ্যানেলসমূহ আমাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, আবহাওয়া, খেলধুলা, চিত্তবিনোদন ইত্যদির সাথে পরচিয় করিয়ে দেয়। এভাবে স্যটেলাইট চ্যানেলসমূহ আমাদের সংকর্ণিতা দূর করে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে আমরা বিশ্বকে যে এক বৈশ্বিক গ্রাম হিসেবে বিশ্বাস করি, সন্দেহতীতভাবে এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনেক অবদান রয়েছে। কিন্তু স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের মন্দ প্রভাবও রয়েছে। প্রায়ই বিদেশি স্যাটেলাইট চ্যানেলে অশ্লীল অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়, যা আমাদের তরুণ সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ সকল চ্যনেলে প্রচারিত সহিংস চলচ্চিত্র দেখে আমাদের শিশুরা আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ছে। তা ছাড়া উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা এসব পাশ্চাত্যের স্যাটেলাইট চ্যানেলে ভিনদেশি সংস্কৃতি দেখে তা ধারণ করতে গিয়ে নিজেদের সংস্কৃতি ও জীবনাচনণ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছে। তাই প্রত্যেকেরই স্যাটেলইট টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহারে অধিক সর্তক হওয়া উচিত।
Share This Post