ভাবসম্প্রসারণ “পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।”
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
মূলভাব: পর্থিক জীবনচক্রে আবর্তনকারী মহাজীবনের রথ। সে পতির প্রতীক । পথিকের পদচিহ্ন অঙ্কিত হয় পথরেখা। যে মানুষ প্রথম পথ সৃষ্টি করে মানুষকে সাথে মেলায় সেই তো যথার্থ পথিক। সম্প্রসারিত ভাব: জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনা ও নানা অজানা অধ্যয় অতিক্রম করার জন্য মানুষকে নিত্যনতুন পথ তৈরি করতে হয়। এক্ষেত্রে মানুষ যেমন পুরনো পথে চলে তেমনি প্রয়োজনে নতুন পথ তৈরি করে। সংকটাপন্ন মানুষ খুঁেজ বের করে সংকট উত্তরণের পথ। এভাবে কাল কালান্তরে দেশ দেশান্তরে মানুষ রচনা করেছে সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতির অজস্র পথ। যে পথ একদা ছিল অভিনব, নব আবিষ্কৃত শত- সহস্র মানুষের পদচারণায় সে পথ হয়েছে অতিপরিচিত। অন্যদিকে গতানুগতিক পথ চলা মানুষকে যখন গন্ডিবদ্ধ করেছে, তখন মানুষ খুজেছে সম্ভাবনাময় নতুন পথ। নিজ নব লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষ নিত্য রচনা করে চলেছে নিত্যনতুন পথ। পথ কোনো পথিককে সৃষ্টি করতে পারেনি, পারবেও না। মানুষের মুক্তির জন্য যে সমস্ত মহাপুরুষ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন তারাই যথার্থভাবে রসতীর্থ পথের পথিক। তাদের পথনির্দেশনা প্রতিটি মানুষের আত্মমুক্তির ক্রমিক পারণাম। তাদের প্রদর্শিত পথে চলে প্রত্যেকম মানুষ স্বমহিমায় ভাস্বয় হয়ে উঠতে পারে। সারোয়ারে কায়েনাত হযরত মুহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পথ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নিকট ম্যাগনাকার্টা মহাজ্ঞানী মহাজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা যদি তাদের প্রদর্শিত পথে চলতে পারি তাহলে আমরাও বরণীয় ও স্মরণীয় হতে পারব। মন্তব্য: উদ্যোগী পথিক সহজে তার গন্তব্যে পৌছার জন্য নিজেই নিজের পথ সৃষ্টি করে থাকে। আর স্বীয় সাধনায় সৃষ্ট পথই পথিকের চলার উপযোগী হয়ে নতুন দিগন্তের সন্ধান দেয়।
Previus
Next
Share This Post