ভাবসম্প্রসারণ “যে মহে সে রহে।”
যে মহে সে রহে।
মূলভাব: এ বিশ্ব সংসারে যারা সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল তারাই কেবল টিকে থাকে। সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের জীবনে পুষ্পসজ্জিত নয়, জীবনের পথ কন্টকাকীর্ণ। মানুষকে সে পথ মাড়িয়ে জীবনের সফতার দিকে এগিয়ে যেতে হয়। জীবনে যেমন আছে বাধা - বিপত্তি , তেমনি আছে নানা রকম সংকট। সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে মানুষকে জীবনে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে হয়। এ জন্য যে মহৎ গুণটির প্রয়োজনতা হলো সহাগুণ বা সহনশীলতা। সহনশীলতা মনুষ্য জীবনের অন্যতম সাম্য নীতি। মানুষ পরস্পরকে উপলদ্ধির মাধ্যমে শ্রেয় প্রাপ্ত হয়। পরস্পরকেবুঝতে হলে সহনশীলতার চর্চা আবশ্যক। সহনশীলতা মানুষকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিতে পারে। মহামানবদের জীবন ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায়, তাদের জীবন ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিপূর্ণ । তারা মানুষের মধ্যে যেটুকু মন্দ তা উপেক্ষা করেন। এ মধ্যে দিয়ে যা ভালো আছে সহচর্যা , মধুর ব্যবহার ও ভালোবাসা দিয়ে তারা তাকেই উৎসাহিত করেন। যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পরও তিনি অসহিষ্ণু হননি। মহানবির জীবনলেখা সহনশীলতার এক অসামান্য দলিল। তাঁর অসীম ধৈর্য ও অপার করুণার প্রবৃত্তি মানুষকে কল্যাণের পথে টেনে আনে। এ সব ধৈর্যশীল প্রেমময় মহামানবরাই মানব জাতির মুক্তির দূত। মন্তব্য: ক্ষমা, দয়া, স্নেহ, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা প্রভৃতি মহৎ গুনের বিকাশ ঘটিয়ে ব্যক্তিজীবন ও সমষ্টি জীবন ধন্য করা সম্ভব।
Previus
Next
Share This Post