ভাবসম্প্রসারণ “যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।”


যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।

মূলভাবঃ পৃথিবীতে কোন বস্তুকেই তুচ্ছ মনে করে অবহেলা করা উচিত নয়। কারন অতি তুচ্ছ বস্তুর মধ্যেও লুকিয়ে থাকে বিস্ময়কর সম্ভাবনা। সম্প্রসারিত ভাবঃ পরম করুণাময় আলাহতায়ালা এ বিশ্বজগতকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সুশোভিত করেছেন। তারমধ্যে অনেক জিনিস আকারে বড় আবার অনেক জিনিস আকারে খুবই ছোট। অনেক জিনিস মূল্যবান, আবার অনেক জিনিস আছে যার মূল্য কম বা মূল্যহীন বলে তুচ্ছ জ্ঞান করা হয়। মানুষ সাধারণত বড় বড় বা মূল্যবান জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং ছোট ও নগণ্য বা তুচ্ছ জিনিসগুলো চিরকাল অবহেলায় ও অনাদরে থেকে যায়। আসলে তা উচিত নয়, কারণ অনেক ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ বস্তুর মাঝেও অনেক মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে থাকতে পারে। বাইরের আকৃতি-প্রকৃতি দেখে কোন জিনিসের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। বাহ্যিকভাবে কেউ দেখতে কুৎসিত বা কদাকার হলেও সে অতি সুন্দর মন বা হৃদয়ের অধকারী হতে পারে। বাইরের আপাত দৃষ্টি দিয়ে আমরা অনেক জিনিস সম্পর্কে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকি, ভিতরের গুনের সন্ধান নিই না। আমরা কোন জিনিসের মর্মস্থলে কষ্ট করে প্রবেশ করতে চাই না শধু বাইরের দিকটা বড় করে দেখি। কালো পাঁকের মধ্যেই পদ্মফুল ফোটে, সমুদ্রের তলদেশেই মনিমানিক্য থাকে। চকচকে বা ঝলমলে পাথর হলেই যে মূল্যবান হবে এমন কোন কথা নেই। মাকাল ফলের বাইরের দিকটা যতটা দৃষ্টিনন্দন ভিতরের অংশটা ততটা অসুন্দর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানের সন্ধানী, কৌত’হলী এবং নিরহঙ্কার পন্ডিত তাঁরাই প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান পান। পতিভাধর ব্যক্তি ও মহৎ পুরুষের পরিচয় অনেক সময় প্রচ্ছন্ন থাকে বলে আমরা তাঁদের চিনি না। সুতরাং সঠিকভাবে অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষ করতে পারলে অনেক তুচ্ছ ও নগণ্য জিনিসের মাঝেও মহামূল্যবান  রত্নের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। মন্তব্যঃ কোন জিনিসকে কখনও অবহেলা ও তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। বাইরের চাকচিক্য আর সৌন্দর্যই কোন কিছুর আসল পরিচয় নয়। সূক্ষ্ম-বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমেই প্রকৃত পরিচয় পাওয়া সম্ভব।
ভাবসম্প্রসারণ “মানুষ বাঁচে তার কর্মে বয়সের মধ্যে নয়।”
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন বিলাস ধন নহে।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম