ভাবসম্প্রসারণ : ভোগে সুখ নই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
ভোগে সুখ নই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।
মূলভাবঃ ভোগ বিলাসিতায় প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না। প্রকৃত সুখ আসে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। সম্প্রসারিত ভাবঃ ভোগ ও ত্যাগ মানবের আত্মাবনকি ও আত্মমুক্তির রক্তাক্ত দলিল। ভোগ্য কাক্সক্ষা মানবের সীমাহীন দঃখের কারণ। ত্যাগ মানুষকে রিক্ত করে না: বরং পূর্নতাই এনে দেয়। অপরের হিতার্থে যিনি নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দেন, মৃত্যুও পরের তিনি আরও বড় মানুষ হিসেবে অমর হয়ে থাকবে। কবির কথায়....‘‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
আমরা যখন ভোগের জীবন যাপন করি তখন শুধু নিজের জন্য বাচি। এ বাঁচা মৃত্যুও সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। যখন ত্যাগের জীবন যাপন করি , তখন পরের জন্যও বাঁচি। জীবনে ত্যাগ থাকলে জীবন অর্থবহ হয়। ত্যাগের মনোভাব মানুষকে মহৎ করে তোলে, অন্তরকে অপার আনন্দে পূর্ন করে দয়ে। অসহায়, বিপন্ন ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে দাড়াতে পালে অন্তরে অনির্বচনীয় শান্তি ও সুখের ফল্লুধারা বয়ে যায়। তাই ত্যাগ আমাদের চরিত্রের সর্বোচ্চ আদর্শ হওয়া ইচিত। ত্যাগের মাদ্যমে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রণী মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারে। ত্যাগ মহাশক্তি। অপরদিকে, ভোগ হচ্ছে লক্ষ ফণা সাপ। তাকে পদদলিত করা আমাদের কর্তব্য। ভোগাকাক্সক্ষার নিবৃত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সার্থক মানুষ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারব না। যে ত্যাগ করতে জানে ভোগের অধিকার তারই জন্মে। মন্তব্যঃ নিঃস্বার্থভাবে অপরেরর জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই জীবনে আসে চরম সার্থকতা। তাই ভোগকে পরিহার করে ত্যাগকে স্বাগত জানানো উচিত।Previus
Next
Share This Post