অনুচ্ছেদ “একটি বর্ষণমুখর দিন”
একটি বর্ষণমুখর দিন
যদি একটানা দিনব্যপী বৃষ্টি হয়, তখন আমরা এটাকে বর্ষণমুখর দিন বলে থাকি। এরূপ দিনে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে। সূর্য মোটেই দেখা যায় না। দিনটিকে নিষ্প্রভ ও বিষন্ন দেখায়্ মাঝে মাঝে ভারি বৃষ্টি হয়। আবার , মাঝে মাঝে গুঁিড় গুঁিড় বৃষ্টি হয়। প্রায়ই আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি এবং বজ্রপাতের গর্জন শোনা যায়। পাখিদের উড়তে দেখা যায় না বললেই চলে। গবাদিপশু তাদের চালা ঘরে নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকে। এরূপ দিনে মানুষ সহজে বাইরে রে হবে পারে না। তাদেরকে ঘরের ভেতর কর্মহীন অবস্থায় বসে থাকতে হয়। রা¯তা-ঘাট প্রায় কর্দমাক্ত এবং জনশূন্য হয়ে পড়ে। বাধ্যবাধকতা ছাড়া কেই সাধারণত বাইরে আসতে চায় না। গরিবেরা বড় কষ্ট ভোগ করে। তারা জীবিকা অর্জনের জন্য বাইরে যেতে পারে না। রাখাল বালকেরাও এরূপ দিনে ঘরে আবদ্ধ থাকে। নিত্যদিনের মতো গোধুলি লগ্নে গরুর পাল ঘরে ফিরছে না। মাঠে খেলার উৎসব নেই । উঠানে বউ -ঝিদের ব্যস্ততা নেই বৃষ্টি দূরের কদম গাছের শ্যামল সৌন্দর্যেকে বাড়িয়ে দেয়। ডালে বসে ভিজে কাক অসহায় আর্তনাদে প্রকৃতিতে কারুণ্য ফুটিয়ে তোলে। এই দিনটি স্কুল গমনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিরাট আনন্দবার্তা নিয়ে আসে। কেননা, এই দিনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না। কিছু লোক গল্পগুজব করে, তাস খেলে , গান গেয়ে বা গান শুনে সময় কাটায় । সর্বোপরি, বর্ষণমুখর দিন আমাদেরকে আনন্দ বেদনা উভয়ই দিয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন শ্রেণির লোকের কাছে বিভিন্নভাবে ধরা দেয়।
Share This Post