অনুচ্ছেদ “একুশে ফেব্রুয়ারি”
একুশে ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে আমাদের মাতৃভূমীর সাহসী সন্তানেরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় আত্মত্যাগ করেছিলেন। তখন থেকে দিনটিকে আমরা ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে উদয্পন করে আসছি। ১৯৯৯ সালে ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ ঘোষণা আমাদের শহিদ দিবসকে আ›তর্জাতিক বিষয়ে পরিণত করেছে। এ ছাড়া ২০০৮ সালের জাতিসংঘের স্বীকৃতিতে এ দিনটি বহির্বিশ্বের নিকট নতুন পরিচয় পেয়েছে। আমরা দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন করতাম। কেননা, এ দিনটি কেবল আমাদের মাতৃভাষার নিরিখেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং আমাদের মুক্তিযুদ্ধসহ জনগনের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের সকল সংগ্রামকে এটি দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু এ সকল আন্তর্জাতিক সংগঠনের ঘোষনার ফলে দিনটিতে এক নতুন মাত্র যুক্ত হয়েছ্।ে বর্তমাননে দিনটির শিক্ষা এই যে , আমাদের উচিত অন্যদের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করা। আমাদের মাতৃভাষা আামদের অমূল্য সম্পদ। একইভাবে অন্যদের মাতৃভাষাও তাদের কাছে পরম প্রিয়। বৃহৎ অর্থে, দিনটি আমাদেরকে অন্যদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শেখায়। এ দিনে শহিদদের প্রতি গভীর শ্যদ্ধা প্রদর্শণের জন্য সকলেই প্রত্যৃষে শয্যা ত্যাগ করে নগ্নপায়ে শহিদ মিনারে সমবেত হয়। তারা বেদীমূলে ফুল ও মাল্য নিবেদন করে। সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা দিনটি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। জাতিসংঘের অধীন সকল সদস্য রাষ্ট্রও প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিনটি উদযাপন করে থাকে।
Share This Post