অনুচ্ছেদ “ডিজিটাল বাংলাদেশ”


ডিজিটাল বাংলাদেশ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দবন্ধ বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ২০০৮ সালে তাঁর নির্বাচনি প্রচারণায় বাংলাদেশকে ডিজিটালকরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারপর থেকেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কথাটি বাংলার সর্ব¯তরের মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। মূলত ‘ডিজিটাল বাংলাদেম’ দ্বারা বাংলাদেশে এমন এক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কথা বোঝানো হয়েছে, যেখানে সর্বাধুনিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভিত্তিতে পরিচালিত এমন একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে তাৎক্ষনিকভাবে যে কোনো তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হবে। বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির সম্প্রসারণের সাথে সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে সরকারি অনেক পাক্ষেপই সাফল্য অর্জন করেছে। সবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা আগের চেয়ে অনেক সহজলভ্য হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু করায় গ্রামীণ জনপদকেও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করে তোলা হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক-বিমা থেকে শুরু করে সব ধরণের অফিস আদালত ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইন্টানেটের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচনি প্রক্রিয়া, ডিজিটাল পাসপোর্ট ও জাতীয় ভোটার আইডি কার্ড প্রণয়নের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটালকরণের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর হয়েছে। আশা করছি এভাবে এগোতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

অনুচ্ছেদ “একুশে ফেব্রুয়ারি”
Previus
অনুচ্ছেদ “সততা”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম