অনুচ্ছেদ “সততা”
সততা
বাক্যে, কর্মে ও চিন্তায় সৎ থাকার গুণকে সততা বলা হয়। এটি একটি সহৎ গুণ। এটি মানুষকে পটিচালত করে মর্যাদার পথে, গৌরবময় স্থানে; যা তাকে সকলের নিকট আদর্শ স্থানীয় করে তোলো। সততার আলোয় উদ্ভাসিত সৎ মানুষ কোনো অন্যায় বা অপরাধ করতে পারে না। তাই সমাজ থেকে অন্যায়কে বিদূরিত করে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সৎ মানুষের বিকল্প নেই। সৎ ব্যক্তি ব্যক্তিগত জীবনে যেমন সুখী হতে পারে, তেমনি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনেও এগিয়ে আসে। অন্যদিকে সততার অবক্ষয়ে সমাজে অন্যায়-অত্যাচা, অবৈধ কার্যকলাপ,পাপাচার ইত্যাদি দেখা দেয়। মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়। ফলে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সমাজে যে অন্যায় অত্যাচার,খুন,চুরি , ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধমূলক কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে তার মূলে রয়েছে সততার অনুশীলনের অভাব। এজন্যে সততার অনুশীলন অতীব জরুরি। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। নশ্বর এ পৃথিবীতে জীবনের পথে লোভ- নরালসার ঊর্ধ্বে থেকে নিজেকে জাগ্রত রাখতে হবে। মূলত সৎভাবে জীবনযাপনের মধ্যেই মানুষের ইহকালের সুখ-শান্তি ও পরকালের মুক্তি নিহিত। তাই প্রত্যেকের উচিত নিজেকে সমস্ত অন্যায় থেকে রক্ষা করে সততার সাথে জীবনযাপন করা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততার মূল্যায়ন করা । তাহলেই সমাজে সুখ - শান্তি বিরাজ করবে।
Share This Post