অনুচ্ছেদ “সত্যবদিতা”
সত্যবদিতা
সত্য বলার অভ্যাসকে সত্যবদিতা বলে । এটি একটি মহৎ গুণ। এই গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিকে বলা হয় সত্যবাদী। সমাজে সত্যবাদীকে সবাই পছন্দ করে, তার প্রতি মানুষের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকে । কারণ সত্যবাদী ব্যক্তি জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততা পরিচয় দেন। তার দ্বারা কখনো কারও কোনো ক্ষতি সাধিত হয় ন। প্রকৃতপক্ষে সত্যবাধিতা মানুষের জীবনে এক অনন্য পরশপাথর; যার স্পর্শে জীবন হয়ে উঠে শুভ্র ও সুন্দর। প্রতিটি ধর্মেই সত্যবাদী হওয়ার কথা বিশেষ জোর দিয়ে বলা হয়েছে। সত্যবদিতা মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে মিথ্যা মানুষকে দ্বয়স করে দেয়। যে ব্যাক্তি সত্যকে জীবনপথের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি কখনো কোনো কাজে ব্যর্থ হন না। সত্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সকল বাধা -বিপত্তি জয় করে সফলতার স্বর্ণশিখরে আরোহণ করেন। তাই জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সত্যবাদিতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এজন্য শৈশবেই যেন শিশুরা সত্যবাদিতার ধারণা লাভ করে এবং জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে সেদিকে পিতামাতা বা অভিভাবকদের বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। সত্যবাদিতা ব্যক্তিকে মর্যাদার আসনে আসীন করে । জীবনে সফলতা লাভ করতে হলেও সত্যবাদিতার বিকল্প নেই। সত্যবদিতার অভাব থেকে সকল পাপাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এবং মানুষ আদিম যুগের আন্দকারের দিকে এগিয়ে চলে। তখন আর কোনো অবৈধ কাজই তার কাছে অণ্যায় বলে বিবেচিত হয় না। তাই আমাদের সকলের উচিত জীবনে সত্যবদিতার অনুশীলন করা । সত্যবাদিতাই হোক আমাদের সকলের জীবনের মূলমন্ত্র।
Share This Post