অনুচ্ছেদ “গ্রিনহাউস প্রভাব”


গ্রিনহাউস প্রভাব

বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবই গ্রিনহাউস প্রভাব হিসেবে পরিচিত। গ্রিনহাউস হচ্ছে কাচের তৈরি একটি ঘর। এর দেয়াল ও ছাদ কাচের তৈরি। শীতপ্রধান দেশে এগুলোর মধ্যে শাকসবজি ও অন্যান্য গাছ লাগানো হয়। এমনকি শীতকালেও গ্রিনহাউসের ভেতরটা উষ্ণ থকে। কারণ ক্ষুদ্র তরঙ্গের সূর্যরশ্মি কাচ ভেদ করে ঘরের ভিতর প্রবেশ করার পর এর তরঙ্গ দৈর্র্ঘ্য বেড়ে যায়। এর ফলে অধিক তরঙ্গের সূর্য রশ্মি কাচ ভেদ করে ঘরের ভিতর প্রবেশ করার পর এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। এর ফলে অধিক তরঙ্গের সূর্য রশ্মি কাচ ভেদ করে আর বের হতে পারে না। পৃথিবীটাকে একটি কাচের ঘরের সাথে তুলনা করা হয়। মানুষ তৈল ও অন্যান্য জ্বালানী পোড়াচ্ছে, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি করছে। এসব গ্যাসকে গ্রিনহাউজ গ্যাস বলে, যা কাচের দেয়াল ও ছাদ হিসেবে কাজ করে । এগুলো পৃথিবীর উষ্ণ রাখে। এটিই বৈশ্বিক উষ্ণতা হিসেবে পরিচিত। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্রিনহাউজ প্রভাবের কারণে উত্তরমেরুর বরফ ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে অনেক দেশ কোনো খাবার পানি পাবে না। কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে এমনটা ঘটতে পারে । এর ফলে নিচু দেশগুলো যেমন, মালদ্বীপ, হল্যান্ড, বাংলাদেশ নিমজ্জিত হতে পারে পানির নিচে। বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধ করার খুব কম উপায়ই আছে। আমরা মেশিনের ব্যাবহার কমিয়ে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে পারি। এ ব্যাপারে আমাদের সবইকে সচেতন হতে হবে।

অনুচ্ছেদ “বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা”
Previus
অনুচ্ছেদ “আমার স্কুলের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম