অনুচ্ছেদ “ভূমিকম্প”
ভূমিকম্প
ভূমিকম্প হলো ভূ-অভ্যন্তর থেকে হঠাৎ নির্গত শক্তির ফলে সৃষ্টি ভূ-আন্দোলন প্রবাহ। এটি অননুমেয় একটি বিষয় এবং এটি এর শক্তির এবং তীব্রতার কোনো রকম পূর্বাভাস না দিয়েই আসে। ভূ-পৃষ্ঠের উপর বিভিন্ন কার্যকলাপ, শক্তিশালী পরমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ আগ্নেগিরির অগ্ন্যৎপাত এবং এরকম আরও অনেক কারণে এটি সংঘটিত হতে পারে। ভৌগোলিকভবেই বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের জরিপগুলোই আভাস দেয় সে, বিগত ২৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তত পাচঁবার বড় ধরণের ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। ঢাকা হলো ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তপ্রবণ এলাকা। ভূতাত্ত্বিকদের ধারণা, ভূমিকম্পের মাত্রা যদি রিকটার স্কেলে ৭ এর উপরে হয়, তাহলে ঢাকা শহরের ৫০% অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। একই সাথে হাজারো লোক এসব অবকাঠামোর ধ্বয়সস্তূপে চাপা পড়ে মারা যাবে এবং অসংখ্য লোক মারাত্মকভাবে আহত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন ভূমকম্প অনুভূত হওয়ায় বিশেষজ্ঞঘন এখন এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ভূমিতকম্প দালানকোঠা ও অবকাঠামোগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, ভূমিধস ঘটায়। এর মাধ্যমে গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আগুন লেগে যায়। অপরদিকে মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার কারণে সুনমি ও বন্যা হয়। আমাদের জনসাধারণ এর ক্ষয়-ক্ষতির মারাত্মক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন নয়। যদিও ভূমিকম্পের কম্পন থামানো বা কমানো যায় না, কি›তু মানুষের দুর্ভোগ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে। সরকারের উচিত ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভবনগুলোকে মেরামত করা উচিত এবং যদি প্রয়োজন হয় সেগুলো খালি করা উচিত। অধিকšতু, সকল নবনির্মিত ভনের জন্য ভবন ভূমিকম্পকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
Share This Post