অনুচ্ছেদ “একটি ঐতিহাসিক স্থানে আমার ভ্রমণ”


একটি ঐতিহাসিক স্থানে আমার ভ্রমণ

ঐতিহাসকি স্থান বলতে সেই স্থানকে বোঝায় যেটি ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে। মানুষের মন কৌতুহলী; তা অজানাকে জানতে ও অদেখাকে দেখতে চায়। ঐতিহাসিক স্থানের ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ আরও বেশি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের দেশের ঐতিহাসকি স্থানগুলো দেখার আগ্রহ আমার প্রবল। গত শরৎকালীন ছুটিতে আমি একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান ‘বাগেরহাট’ দর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি সেখানে আমার কতিপয় বন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাগেরহাটের আর্কণীয় ঐতিহাসিক স্থানগুলো হলো ‘খানজাহান আলীর মাজার,’ ‘খানজাহান আলীর দিঘি,” ‘ষাট গম্বুজ মসজিদ’ এবং ‘ঘোড়া দিঘি’। সবকয়টি স্থানই দেখার সৌভাগ্য আমার রয়েছে। খানজাহানর আলীর মাজারটি কারুকাজ সম্বলিত একটি সুন্দর একতলা ভবন। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা রাতে মাজারের পাশে এক বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয। এ মাজারের সামনে একটি বিশালায়তনের দিঘি রয়েছে। এ দিঘিতে দুর্লভ প্রজাতির কুমির রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। আমি ষাট গম্বুজ মসজিদও পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি মসজিদটি ষাট গম্বুজ নামে পরিচিত হলেও এ গম্বুজ ৭৭টি । ধারণা করা হয় খান-ই-জাহান পনেরোশ শতকে এটি নির্মাণ করেন। প্রায় পাঁচশ বছর পরও এর স্থপত্যশৈলী এক অপার বিস্ময়। মুঘল স্থাপত্যের নির্দশন এ সমজিদটি অনেক সুন্দরভাবে সজ্জিত। এ কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ঘোড়া দিঘিটিও বিশাল। এটি ষাট গম্বুজ সমজিদের নিকটে অবস্থিত। বাগেরহাট সত্যিই একটি ঐহিহাসিক স্থান। আমি বাগেরহাট ত্যাগ করেছি কন্তিু সে স্মৃতি আজও আমার মনে পড়ে।

অনুচ্ছেদ “টেলিভিশন”
Previus
অনুচ্ছেদ “ভূমিকম্প”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম