অনুচ্ছেদ “টেলিভিশন”
টেলিভিশন
টেলিভিশন একই সাথে দৃিষ্ট ও শ্রবণ বিষয়ক যন্ত্র। এটি আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফরাসি বিজ্ঞানী জে.এল.বেয়ার্ড এটি আবিষ্কার করেন। এটি বিনোদনের সবচেয়ে সাধারণ এবং সুদূরপ্রসারী উৎসে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেনই টেলিভিশন সেট রয়েছে। এটি আমাদের দেশের জনগণের বিনোদনের সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎস। টেলিভিশন প্রোগ্রাম শুধু বিনোদনমূলক নয়, শিক্ষামূলকও বটে। আজকাল টেলিভিশন দূরবর্তী শিক্ষাদানের কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ডিসকভারি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতো চ্যানেলগুলো অনুসন্ধানী ও তথ্যমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। তবে টিভি দেখা অনেক শিশু কিশোরের আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। কিছু চ্যানেল আছে যেগুলো এমন কিছু অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে, যা শিশুর মানসিক বিকাশের অন্তরায় । এ ছাড়া যাবকরাও এর মারাত্মক শিকার। আজকাল পশ্চিমা টিভি চ্যানেলগুলো বিস্তৃত এলাকা নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান প্রচার করে । তাই তরুণ প্রজন্ম শিক্ষামূলক, তথ্যমূলক এব নীতিমূলক অনুষ্ঠান পছন্দ করে না। তারা সন্ত্রাস ও অপরাধের উপর উত্তেজনাকর টিভি চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পছন্দ করে। এ থেকে তারা অনেক ক্ষতিকর জিনিস শিখছে, যা তাদের করা উচিত নয়। তারা প্রায়ই প্রেমমুগ্ধ দ্রশ্য টিভিতে দেখে এবং সেগুলো বাস্তবে চর্চা করে আনন্দ পায়। ফলে তারা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বিপথগামী হয়ে পড়ে। তারা আরও শেখে কীভাবে অধিক নিরাপদ এবং সূক্ষ্ম উপায়ে অপরাধ সংগটিত করতে হয়। তাই অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত, যাতে তাদের ছেলেমেয়েরা টিভিতে খারাপ অনুষ্ঠানগুলো দেখতে না পায়।
Share This Post