অনুচ্ছেদ “লোডশেডিং”
লোডশেডিং
বিদ্যুৎ আধুনিক সভ্যতার প্রধান চালিকাশক্তি । কিন্তু বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং বিদ্যুতের অবদানকে অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে। লোডশেডিং হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুতের সববরাহ স্থগিত রাখা। এটি আমাদের দেশের সর্বত্র একটি নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণাত হয়েছে। বিবিধ কারণে লোডশেডিং হয়ে থাকে। বিদ্যুতের অপর্যাপ্ত উৎপাদন আমাদের দেশের লোডশেডিংয়ের প্রধান কারণ। এ ছাড়া বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও অপচয় লোডশেডিংয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী। বিদ্যুতের অভাব হচ্ছে উৎপাদনের অভাব। তাই লোডশেডিংয়ের কারণে কলকারখানার উৎপাদন অনেকটা হ্রাস পায়। এটি শহর বা এর একাংশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। রিফ্রিজারেটরে রক্ষিত সতজে খাবার পচে যায় । রাতে লোডশেডিং দুষ্কৃতকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের সুযোগ করে দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায়ও বিঘœ ঘটায়। মোটের উপর লোডশেডিং আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এ সমস্যা সমাধানে আমাদের সরকারের উচিত অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা এবং পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে চুল্লি স্থাপন করা। কেননা এ চুল্লি থেকে প্রচুর বিদ্যুৎ উপন্ন করা যায়। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগ, সিস্টেম লস এবং বিদ্যুতের অচয়ও বন্ধ করতে হবে। এভাবে আমরা লোডশেডিং নূন্যতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি। তবে আশার কথা এই যে, বর্তমান সরকার রুপপুরে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের জন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালে সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। এছাড়াও আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে, সেগুলো উৎপাদন শুরু করলে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।
Share This Post