অনুচ্ছেদ “শব্দদূষণ”
শব্দদূষণ
শব্দদূষণ বলতে মানুষের শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণ শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায়। যানজট ও কলকারখানা থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী এ রকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি হয়। মানুষ সাধারণ ২০-২০,০০০ ডেসিবলের কম বা বেশি শব্দ শুনতে পায় না। তাই মানুষের জন্য শব্দদূষণ প্রকৃতপক্ষে এই সীমার মধ্যেই তীব্রতর শব্দ দ্বারা হয়ে থাকে। শব্দদূষণ অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। তীব্র শব্দ কানের পর্দার বেশ জোরে ধাক্কা দেয়, যা কানের পর্দাকে নষ্টও করে দিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ক্ষতিকর প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এ ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভুলোমন, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি ঘটতে পারে। শব্দদূষণের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমদের দ্বারা কোনোভাবেই যেন শব্দদূষণ সৃষ্টি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে আইনের যথার্থ প্রয়োগ ঘটিয়ে শব্দদূষণের জন্য দায়ী সবাইকে শাস্তি দিতে হবে। তাহলেই শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
Share This Post