করণ কারক (বিস্তারিত)
করণ কারক
‘করণ’ শব্দটির অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণ কারক বলে।করণ কারকে প্রধানত দ্বারা, দিয়ে কর্তৃক প্রভৃতি তৃতীয় বিভক্তি চিহৃ যুক্ত হয়।
যেমন- আমরা হাত দিয়ে কাজ করি। আমরা কলম দিয়ে লিখি এবং আব্দুর রহিম লাঠি দিয়ে একটি সাপ মারল।
এখানে ‘হাত, কলম এবং লাঠি হল করণ কারক। ক্রিয়াকে ’ কী দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উওর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক। করণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার-
করণ কারকে সাধারণত তৃতীয় বিভক্তি হয়। তা ছাড়া অন্যান্য বিভক্তির ব্যবহার ও রয়েছে।
যেমন-
ক. প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তি : ছাত্ররা বিকালে মাঠে বল খেলে। (অকর্মক ক্রিয়া) ডাকাতেরা গৃহস্বামীর মাথায় লাঠি মেরেছে । ( সকর্মক ক্রিয়া)
খ. তৃতীয় বা দ্বারা বিভক্তি :আমরা জানি, লাঙ্গল দ্বারা জমি চাষ করা হয়।
দিয়া বিভক্তি : মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপর্জন।
গ. সপ্তমী বিভক্তি বা এ বিভক্তি : ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে। শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
তে বিভক্তি : এত শঠতা, এত যে ব্যথা, তবু যেন তা মধুতে মাখা। ’ নজরুল।
য় বিভক্তি : চেষ্ঠার সব হয়। এ সুতার কাপড় হয় না।
বিভক্তির করণ কারকের কিছু উদাহরণঃ
আগুরে সেকঁ দাও - করণে ৭ মী।
ইট-পাথরের গাড়ি বড় শক্ত - করণে ৬ষ্ঠী।
আলোয় আঁধার কাটে - করণে ৭মী।
আমরা কানে শুনি - করণে ৭মী।
এ কলমে ভালো লেখা হয় - করণে ৭মী।
কালির দাগ সহজে ওঠে না - করণে ৬ষ্ঠী।
এ সুতায় কাপড় হয় না - করণে ৭মী।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু - করণে ৭মী।
কান্নায় শোক মন্দভূত হয় - করণে ৭মী।
নখের আঁচড় দিও না - করণে ৬ষ্ঠী।
কথায় কথা বাড়ে - করণে ৭মী।
ফলে বৃক্ষের পরিচয় - করণে ৬ষ্ঠী।
ছেলেরা বল খেলে - করণে ৭মী।
লোকটি কানে খাটো - করণে ৭মী।
জলের লিখন থাকে না - করণে ৬ষ্ঠী।
লাঙ্গলে জমি চাষ করা হয় - করণে ৭মী।
টাকায় বাঘের দুধ মিলে - করণে ৭মী।
আকাশ মেঘে ঢাকা - করণে ৭মী।
আমার সোনার ধানে গিয়াছে ভরি - করণে ৭মী।
দুই দন্ডে চলে যায় দুদিনের পথ - করণে ৭মী।
নুতন ধান্যে হবে নবান্ন - করণে ৭মী।
Share This Post