কারক নির্ণয় পদ্ধতি
একজনরে কারক নির্ণয় পদ্ধতি
বাক্যের ক্রিয়াপদকে সাধারণত- ১. ‘কে’ প্রশ্ন করলে-কর্তৃকারক২. ‘কী’ বা ‘কাকে’ প্রশ্ন করলে-কর্মকারক
৩. ‘কী দিয়ে’ প্রশ্ন করলে করণ কারক
৪. ‘কাকে’ প্রশ্ন করলে সম্প্রদান কারক
৫. ‘কোথা থেকে’ প্রশ্ন করলে-অপাাদন কারক
৬. ‘কোথায়’ প্রশ্ন করলে-অধিকরণ কারক কোন কারকে কোন বিভক্তি হয়ঃ
সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মানুসারে বিশেষ বিশেষ কারকের জন্য নিদির্ষ্ট বিভক্তি থাকে। যেমন-
কর্তৃকারকে - প্রথমা বিভক্তি
কর্মকারকে - দ্বিতীয়া বিভক্তি
করণ কারকে - তৃতীয় বিভক্তি
সম্প্রদান কারকে - চতুর্থী বিভক্তি
অপাদান কারকে - পঞ্চমী বিভক্তি
অধিকরণ কারকে - সপ্তমী বিভক্তি
[Note: ষষ্ঠী বিভক্তি সম্বন্ধ পদে ব্যবহৃত হয় ]
কিন্তু বাংলা ব্যাকরণের নিয়মানুসারে কোনো নিদিষ্ট কারকের নির্দিষ্ট বিভক্তি নেই। যে কোনো কারকে যে কোনো বিভক্তি হতে পারে। যেমন-সকল কারকে ‘এ’ বিভক্তি হয়ে থাকে।
সকল কারকে শূণ্য (০) বিভক্তির প্রয়োগঃ
কর্তৃকারক - শরীফ বই পড়ে। কর্মকারক -
শরীফ ভাত খায়। -
ডাক্তার ডাক। করণ কারক -
ছেলেরা বল খেলো। -
ঘোড়াকে চাবুক মার।
সম্প্রদান কারক - ভিক্ষা দেও দেখিলে ভিক্ষুক।
অপাদান কারক - আর স্কুল পালাইও না।
অধিকরন কারক - বাবা আজ বাড়ি নেই।
সকল কারকে ’এ’ বা ’সপ্তমী’ বিভক্তির প্রয়োগঃ
কতৃকারক - পাগলে কী না বলে। লোকে বলে।
কর্মকারক -গুরুজনে কর নতি। এ অধীনে দায়িত্বভার অর্পণ করুন।
করণ কারক - আগুনে সেঁক দাও।
সম্প্র্রদান কারক - দীনে দয়া কর।
অপাদান কারক -পরাজয়ে ডরে না বীর।
অধিকরণ কারক - তিলে তৈল আছে। এ দেহে প্রাণ নেই।
Share This Post