সমাস- প্রাথমিক আলোচনা (বাংলা ব্যাকরণ)
সমাস
‘সমাস’ শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, মিলন, একধিক পদের একপদীকরণ। সুতরাং, অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। যেমন- দেশের সেবা- দেশসেবা।
ঋণ হতে মুক্ত- ঋণমুক্ত।
বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্য সমাসের সৃষ্টি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলার এসেছে। তবে খাঁটি বাংলা সমাসও অনেক রয়েছে। সেগুলোতে সংস্কৃতের নিয়ম প্রযোজ্য হয় না।
সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদঃ সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদকে সমস্ত পদ বলে। যেমন- বিলাত, হতে ফেরত = বিলাত ফেরত।
এখানে ‘বিলাত ফেরত’ পদটি সমস্ত পদ বা সমাবদ্ধ পদ।
সমস্যমান পদঃ সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদটির অন্তর্গত পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে। অর্থাৎ যে কয়েক পদে সমাস হয়, তাদেরকে সমস্যমান পদ বলে। যেমন-
বিলাত হতে ফেরত = বিলাত ফেরত।
এখানে ‘বিলাত’ ‘হতে’ ও ‘ফেরত’ পদগুলো সমস্যমান পদ।
ব্যাসবাক্যঃ সমস্ত পদকে ভেঙে সে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।
যেমন- বিলাত হতে ফেরত = বিলাত ফেরত।
এখানে ‘বিলাত হতে ফেরত’ হলো ব্যাসবাক্য।
পূর্বপদ ও উত্তর পদঃ সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশকে পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশকে উত্তর পদ বা পরপদ বলে। যেমন- বিলাত হতে ফেরত = বিলাত ফেরত। এ
খানে ‘বিলাত’ পূর্বপদ এবং ‘ফেরত’ উত্তর পদ। সমাসের শ্রেণিবিভাগ সমাস প্রধানত ছয় প্রকার। যেমন -
দ্বন্দ¦, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস।
Share This Post