বাংলা অনুচ্ছেদ “শৃংখলাবোধ”
শৃংখলাবোধ
পৃথিবী একটি নিয়মের রাজত্ব। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র সব কিছুই আপন আপন নিয়মে চলছে। কোথাও কোন বিরোধ নেই, কোন বিচ্যুতি নেই। বিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্র যেমন নিয়ম বিরাজ করছে প্রাণী জগতেও সেরূপ নিয়ম চলছে। পাখিরা সকালে গান গায়, সারাদিন খাদ্যের খোঁজে উড়ে বেড়ায়, মেওট্টমাছি, পিপীলিকা প্রভৃতি ক্ষুদ্র প্রাণীর মধ্যেও নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায় না। মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে। নিয়মের কারণেই মানুষ সমাজ সৃষ্টি করে একত্রে বসবাস করতে অভ্যস্ত হয়েছে। প্রতিটি কাজের জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। সে নিয়ম কানুনকেই বলা হয় শৃংখলা। ব্যক্তির কল্যাণে, জাতির কল্যাণে, এবং দেশের কল্যাণে শৃংখলাবোধের খুবই প্রয়োজন। শৃংখলার সাথে সময়ের বিষয়টিও জড়িত। কোন কাজ শুধু ক্রম অনুসারে করলেই চলবে না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ও লক্ষ্য রাখতে হবে। স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, সভা-সমিতি, হাট-বাজার, কারখানা, ফ্যাক্টরি সব জায়গাতেই নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োজন। অনিয়মের মধ্যে মঙ্গলের সাক্ষাৎ লাভ অসম্ভব।
Share This Post