ভাবসম্প্রসারণ “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
মূলভাব: একজন অধম হলে আর একজন অধম হবে এমন কোনো কথা নেই। কারণ উত্তম হওয়াই মুনষ্যত্বের লক্ষন। সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানসিকতার বিচারে সব মানুষের চরিত্র এক হয় না। কেউ ভালো আবার কেউ মন্দ। তন্মধ্যে উত্তম তথা ভালো মানুষ সকলেই আদর্শ । তাঁরা চিন্তা ও কর্মে সত্য এবং ন্যায়ের অনুসারী । পক্ষান্তরে যারা অধম তথা মšদ তারা স্বার্থন্বেষী ও অর্থলোলুপ। স্বভাব বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এরা নীচ ও খল প্রকৃতির । ঈর্ষা , হিংসা, জিঘাংসা এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এসব পশু স্বভাবের মানুষেরা কখনো অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে না। কেননা, সমাজে ন্যায়, সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করা মানুষের একান্ত কর্তব্য। হিংসা-বিদ্বেয়,জিঘাংসা ইত্যাদি মানুষের পরম শত্রু। সত্যিকার মানুষ কোনদিন এসব হীন কাজে লিপ্ত হয় না। পৃথিবীতে বহু অধম ও অসৎ ব্যাক্তি ও ধরনের হীন কাজে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের অনুসরণে অন্য লোকও সে পথে হাঁটবে এমন নয়। অধমের দেখাদেখি অধম হতে নেই। অধম না হয়ে উত্তম হবার সাধনাই মানুষ্যত্বেও সাধনা। অনেক সময় দেখা যায় কোন অন্যায় কাজকে কেউ কেউ আর একটি অন্যায় দিয়ে রুখতে চেষ্টা করে। কুকুর মানুষকে কামড়াবে বলে মানুষও কুকুরকে পাল্টা কামড়াবে এমন নয়। কোন হীন বা নীচ ব্যাক্তি ক্ষতিকর কাজ করলেও তার প্রতিবিধান হীন কাজ দিয়ে করতে নেই। উত্তম ব্যবহার ও ক্ষমার আদর্শ স্থাপন করেই তার প্রতিবিধান করা উচিত। মন্তব্য: অন্যের অন্যায়, অমানবিক ও অশুত আচরণ কখনও মানুষের অকুরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ হতে পারে না। পরের সুকীর্তিতে অনুপ্রণিত হওয়া প্রশংসনীয় কিন্তু পরের স্বার্থপরতায় প্রভবিত হওয়া অনাকক্সিক্ষত। তাই মানুষের সাধনা হওয়া উচিত উত্তম।
Previus
Next
Share This Post