অনুচ্ছেদ “আমার শৈশবকাল”
আমার শৈশবকাল
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা জয়নগর গ্রামে আমার জন্ম। আমি মাতা-কনিষ্ঠ সন্তান। তাই আমি ছিলাম তাদের চোখের মণি। আমার শিশুকালের কোনো দুঃখের ঘটনাই বেশিক্ষণ স্থায়ী হতো না। কেননা, দুঃখের সময় মা-বাবা আমাকে হাসি-খুশিতে মাতিয়ে রেখে সহসাই তা ভুলিয়ে দিতেন। বাবা প্রায়ই আমার জন্য প্রিয় খাবার বা সুন্দর সুন্দর খেলনা নিয়ে আসতেন। বন্ধুদের সাথে আমার শৈশবকাল বেশ ভালোই কেটেছে। আমি একজন মেয়েশিশু হওয়াতে আমার অধিকাংশ বন্ধুই ছিল মেয়ে। আমরা অনেক আনন্দের সাথে কানামাছি ভো ভো, বৌচি, গোল্লাছুট এবং আরও বিভিন্ন খেলা খেলতাম। স্কুলের প্রথম দিন আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি। বাবা আমাকে প্রথম দিন স্কুলে নিয়ে যান। স্কুলে সম্পের্কে আমার মধ্যে সব সময় একটি ভয় কাজ করত। কিন্তু সেদিন আমি সহজেই আমার প্রিয় শিক্ষকগণ, বন্ধু-বান্ধব ও আমার স্কুলের সাথে নিজকে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলাম। শিশুকালের একটা বেশ দুঃখের ঘটনাও আমার মনে পড়ে, যা আমাকে আজও হাসায়। আমার অনেক মাটির পুতুল ছিল। পুতুলগুলোর একটা বেশ দুঃখের ঘটনাও আমার খুব প্রিয় ছিল। আমি এর নাম দিয়েছিলাম যে সেদিন আমি কোনো খাবার খাইনি। যখনই আমার শিশুকালের স্মৃতি মনে হয় তখনই এ ঘচনা আমাকে হাসায়। দিনগুলো কতই না সুন্দর ও নিষ্পাপ ছিল। মাঝে মাঝে আমি অবাক না হয়ে পারি না যে, কেন আমার ঐ শিশুকাল হারালাম। কি›তু হায়! প্রকৃতি যে তার নিজের গতিতে চলে।
Share This Post