অনুচ্ছেদ “কম্পিউটার”
কম্পিউটার
কম্পিউটার আবিষ্কার আধুনিক প্রযুক্তির একটি বড় অগ্রগতি। ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারে দিশারি মনে করা হয়। এটি আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার । এটি আবিষ্কারের প্রথম দিকে কেবল গণনার কাজে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তব জীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে এ ব্যবহার নেই। এটিকে মানুষের মস্তিষ্কের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কম্পিউটার সকল শাখার জটিল সব ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম। কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি কম্পিউটার এমন হিসাব-নিকাশ করতে পারে যা সম্পাদনে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গণিতজ্ঞের কয়েক বছর সময় প্রয়োজন হবে। সুপার কম্পিটারগুলো লক্ষ লক্ষ গাণিতিক সমস্যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সমাধান করতে পারে। কোনো দ্বিধা ছাড়াই এটি একই সময়ে অনেকগুলো কার্যক্রম চলাতে পারে। আজকাল কম্পিউটার অত্যধুনিক ও উন্নত হয়েছে। এটিকে বিভিন্ন জটিল গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ইতোমধ্যেই শিল্পকারখানা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ব্যবসা চালাতে পারে, দাবা খেলতে পারে এমনকি সংগীতও সৃষ্টি করতে পারে। এটি আমাদের জীবনে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এর সফল প্রয়োগে আমরা অতি সহজেই আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে উপনীত হতে পারি। শতাব্দীর এ বিস্ময়কর আবিষ্কারটিই সমস্যাসংকুল এ দেশের মানুষকে আধাঁর থেকে আলোতে আনার পথ দেখাবে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
Share This Post