ভাবসম্প্রসারণ "জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।"


জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।

মূলভাবঃ বংশ পরিচয়ে মানুষের মর্যাদা বাড়ে না, মহৎ গুনাবলির জন্যই মানুষ প্রকৃত মর্যাদার অধিকারী হয়। সম্প্রসারিত ভাবঃ জন্মের ক্ষেত্রে মানুষের নিজের কোনো ভূমিকা থাকে না। আশরাফ বা আতরাফ, ধনী বা দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়াটা মানুষের নিজের ইচ্ছা বা কর্মের ওপর নির্ভর নয়। কিন্তু কর্মজীবনে তার ভূমিকা ও অবদানের দায় তার নিজের ওপর বর্তায়। তাই পৃথিবীতে মানুষের প্রকৃত বিচারে বংশ পরিচয় তেমন গুরুত্ব বহন করে না। বরং কর্ম অবদানের মাধ্যমেই মানুষ পায় মর্যাদার আসন, হয় স্মরনীয় ও বরনীয় । আশরাফ বা অভিজাত বলে অনেকে বংশ গৌরব বড় করে দেখে , কি›তু তার কাজকর্মে যদি কোনো গুন প্রকাশ না পায়, তবে সে বংশ গৌরবের কোনো অর্থ নেই। জন্ম কোথায় হলো তা দেখায় বিষয় নয়। সদবংশে জন্মগ্রহণে করেও যদি কেউ অপকর্মে লিপ্ত থাকে তবে কেউ তাকে শ্রদ্ধা করবে না। অপরপক্ষে, একজন লোক নীচ কুলে জন্মগ্রহন করেও তার কর্তব্যকর্ম ও চারিত্রিক আদর্শের জন্য সকলের অকুন্ঠ শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারে। দেশের কাছে, দশের কাছে এবং সৃষ্টি কর্তার কাছে কোনো একজন মানুষের কর্মই হলো তার বড় পরিচয়। সরোবরের শ্যাওলা অপেক্ষা গোবরের পদ্মফুলো মর্যাদা অনেক বেশি । মুসলিম জাহানের সর্বপ্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বেলাল (রা.) একজন ক্রীতদাসের সন্তান হয়েও নিজ কর্মের মাধ্যমে সকলের অকুন্ঠ শ্রদ্ধা অর্জন করতে পেরেছিলেন। শেষ বিচারের দিন আল্লাহ কারো বংশ দেখবেন না। দেখবেন তার কর্ম। মন্তব্যঃ বংশের জন্য নয়, কর্মের জন্যই মানুষ প্রকৃত মর্যাদার অধিকারী হয়।

ভাবসম্প্রসারণ "চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ।"
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “অর্থ-সম্পদের বিনাশ আছে, কিন্তু জ্ঞান সম্পদের বিনষ্ট হয় না।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম