ছোট ভাইকে উপদেশ দিয়ে বড় ভাইয়ের পত্র
*** ছোট ভাইকে উপদেশ দিয়ে বড় ভাইয়ের পত্র
উত্তরা, ঢাকা, ১২২৯ ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ইং
প্রিয় নোমান, দোয়া রইল। আশা করি ভালোই আছো। দিন কতক আগে রায়হানের চিঠিতে জানতে পারলাম যে, আজকাল তুমি নাকি লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে উঠেছো। ঠিকমতো পড়াশুনা করছো না। এটা জেনে আমি কিছুটা হতাশ্। তোমার ভালো করেই জানা উচিত যে, আমরা অত্যন্থ দরিদ্র পরিবারের সন্থান। আমাদের এমন কোনো সম্পত্তি নেই যার ওপর নির্ভর করে পায়ের ওপর পা তুলে বিনা কাজে জীবন কাটাতে পারি। আর লেখাপড়া না করে নিজেদের গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় নেই। লেখাপড়া না করলে কোনো কায়িক পরিশ্রম করেও নিজের অন্নসংস্থান করতে পারবে না। তোমার মতো এমন দুর্বল দেহের ছেলেরা লেখাপড়া করে কোনো কাজে না লাগাতে পারলে, অন্যের কাঁধের বোঝা হয়ে জীবন কাটাতে হবে। আর মনে রেখো-পরনির্ভরশীল জীবনের মতো লজ্জাকর জীবন আর নেই। তোমার এই দুর্গতির কথা মা জানেন না নিশ্চয়ই ! তিনি জানলে তোমার বিপদ হবে বেশি। এখনও সময় আছে, পড়ালেখার প্রতি নজর দাও। কারণ তুমি এখন বড় হয়েছো, তাই তোমার ভালোমন্দ তোমাকেই বুঝতে হবে। এখন থেকে সবকিছুই রুটিন মাফিক করতে চেষ্টা করবে। নিয়মিত স্কুলে যাবে। আর যখন-তখন আড্ডা দেওয়া, দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করবে। আর তখন সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত যতখুশি দৌ’ড়াদৌ’ড়ি খেলাধুলা করতে পার, ওতে তোমারই মঙ্গল হবে। আশা করি এবার থেকে সুবোধ ছেলের মতো পড়াশুনা করবে। মার অবাধ্য হবে না। তোমার দুরন্থপনায় মা যে খুব বিরক্ত তা তুমি হয়তো বুঝতে পার না। মার ইচ্ছাকে মূল্য দিতে শেখ, লেখাপড়ায় আরও ভালো হতে চেষ্টা করো। মাকে আমার সালাম দিও। ভালো থেকো। ইতি তোমারই বন্ধু স্পর্শ
[এখানে খাম আঁকতে হবে]Previus
Next
Share This Post