গণিতে ভালো করার ১৩টি ম্যাজিক পদ্ধতি ! ক্লিক করে এক্ষুণি পড়.....


গনিত পরীক্ষার ভয় আর নয়! আর নয়!!

গণিত (Math) পরীক্ষা – আমাদের অনেকের কাছেই একটি আতংকের নাম। পরীক্ষার হলে খাতায় অংকের উত্তর মিলছে না, সূত্র মনে আসতেছেনা , ক্যালকুলেটর অথবা জ্যামিতি বক্স আনতে ভুলে গিয়েছি – এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে আমাদের জীবনে। পরীক্ষার আগের রাতে এত সূত্র আর ইকোয়েশন দেখে আমার ভয় পেয়ে যাই। এই ভয়কে জয় করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিচে আলোচনা করা হল-

Don’t Stop Revising

পরীক্ষার আগের সময়টুকু কাজে লাগাও। অনেকেই মনে করে সারাবছর অনেক গণিত প্র্যাকটিস হয়েছে তাই পরীক্ষার আগের দিন মাথা ঠাণ্ডা রাখতে কোনো কিছু প্র্যাকটিস না করাই শ্রেয়। এটি একটি ভুল ধারণা। সারা বছর তুমি যতই পড়ো না কেন, পরীক্ষার আগে যদি প্রস্তুতি না নাও তাহলে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে না। আবার অতিরিক্ত প্র্যাকটিস করতে থাকলেও পরীক্ষা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বারবার দেখে নাও।

ইন্টারনেটকে কাজে লাগাওঃ

ইন্টারনেটে চ্যাটিং বা গেমস খেলা ছাড়াও আরও অনেক কিছু করার থাকে। সঠিকভাবে ইন্টারনেটকে কাজে লাগাতে পারলে এটিই হতে পারে তোমার পড়াশোনার অন্যতম মাধ্যম। ইন্টারনেটে গণিত বিষয়ক অনেক ভিভিও আছে যেগুলো থেকে খুব সহজে জটিল সমস্যার সমাধান জানতে পারবে। তাই ইন্টারনেটকে জ্ঞান আহরণ এবং চর্চার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করো। ইউটিউব বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অংকের মজার এবং সহজ সমাধান পেয়ে যাবে।

ছন্দ মিলিয়ে পড়ো

অনেক সময় দেখবে একই নিয়মের বা দেখতে একই রকম বেশ কিছু সূত্র মনে রাখতে হচ্ছে তোমাকে। এক্ষেত্রে সেই সূত্রগুলো একই সাথে পর পর ছন্দ মিলিয়ে লিখে ফেলো তোমার নোট খাতায়। তাহলে পরীক্ষার আগে খুব সহজেই সূত্রগুলো মনে করতে পারবে। যখনই ভুলে যাবে, সহজেই চট করে দেখেও নিতে পারবে।

গণিত মুখস্থ নয়ঃ

অনেকেই গণিত পরীক্ষার আগের দিন নোট খাতা নিয়ে বসে। একের পর এক পাতা উল্টিয়ে অংক মুখস্থ করে যায়। ভুলেও এই কাজটি করো না। প্রয়োজন হলে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের একই অংক অনেকগুলো না করে একটি বা দুইটির সমাধান করে নাও। কোন সূত্র প্রয়োগ করে সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে তা দেখে নিতে পারো। এভাবে এগিয়ে যাও। কিন্তু অংক মুখস্থ করার চেষ্টা করো না। মনে রেখো, প্রতিটি সমস্যা একটি সিকুয়েন্স অনুযায়ী সলভ করতে হয়। তাই বেসিক ধারণা থাকা খুব জরুরি। মুখস্থ করলে তুমি সেই বেসিকেই দুর্বল থেকে যাবে। বুঝে অংক করো, মুখস্থ নয়।

বিরতি নাওঃ

একটানা অনেকক্ষণ আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। একসাথে অনেক অংক অনুশীলন না করে মাঝে মাঝে বিরতি নাও। কিছুক্ষণ অংক করলে, কিছুক্ষণ সূত্রগুলো পড়ে নাও, অংকের নিয়মগুলো দেখে নাও আরেকবার। এভাবে যেমন অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করলেও তুমি ক্লান্ত হবে না তেমনি যা পড়বে সেটি খুব ভালো মনে থাকবে।

চেকলিস্টঃ

পরীক্ষার আগের দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি চেকলিস্ট তৈরি করো। যেমন- জ্যামিতি বক্স, ক্যালকুলেটর, কলম, স্কেল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস ঠিকমত গুছিয়ে নিয়েছো কিনা খেয়াল করো। অনেক সময় পরীক্ষার হলে বসে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের কাছে না পেলে ঘাবড়ে যেতে পারো, অযথা সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পরীক্ষার আগের দিন ভেবে-চিন্তে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো গুছিয়ে নাও।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ

সুস্থ থাকতে একজন মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। গণিত পরীক্ষার আগে আমরা এমনিতেই অনেক বেশি মানসিক চাপের মধ্যে থাকি। সারা দিন-রাত একটানা পড়াশোনা না করে মাঝে মাঝে বিরতি নাও। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে তুমি জানা বিষয়গুলোও ভুলে যেতে পারো। তাই যেকোন পরীক্ষার আগে বিশেষ করে গণিত পরীক্ষার আগে বিশ্রাম বা ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নপত্র পড়ো ভালো করেঃ

পরীক্ষা শুরু করার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে তোমাকে যে প্রশ্নপত্রটি দেয়া হবে সেটি ঠিকঠাক পড়া। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় ভালো করে প্রশ্ন পড়ে নাও। অংকের ডিজিটগুলো মনোযোগদিয়ে খেয়াল করো। ১০০ কে শুধু ১০ লিখে ভুল অংক করার মতো অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে কম বেশি। ছোটোখাটো এই ভুলগুলো এড়াতে মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়ে নাও। গণিত পরীক্ষায় এমন ভুল হওয়াটা কিন্তু খুব একটা বিরল নয়।

স্পষ্ট ভাষায় উত্তর লেখোঃ

অনেক কিছু অগোছালোভাবে না লিখে বরং প্রশ্নে ঠিক যা চাওয়া হয়েছে সেটি গুছিয়ে লিখো। কারণ তোমার খাতায় লেখা অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় তথ্য পরীক্ষকের বিরক্তির কারণ হতে পারে এবং এতে তুমি নম্বর কম পাবে। তাই মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন পড়ো, ঠিক যতটুকু চাওয়া হয়েছে ততটুকুই স্পষ্ট ভাষায় লিখো। মনে রেখো, সহজ, সাবলীল এবং স্পষ্ট ভাষায় লেখা উত্তর তোমাকে তোমার কাঙ্ক্ষিত নম্বর পেতে সাহায্য করবে।

কমনসেন্স চেকঃ

গণিত পরীক্ষার খাতায় অংকের উত্তর ঠিক হলো কি না তা নিজেই বুঝতে পারবে কিছু কমনসেন্স চেক করার মাধ্যমে। যেমন- প্রবাবিলিটির উত্তর সবসময় ০ থেকে ১ ( অথবা ০ থেকে ১০০%) এর মধ্যে হবে। যদি সেটি না হয়, এর অর্থ হলো তোমার উত্তরটি ভুল হয়েছে। একরম ছোট ছোট কিছু কমনসেন্স চেক টিপস শিখে নিতে পারো আগে থেকেই।

ইউনিট ঠিক আছে কি নাঃ

অংক পরীক্ষার উত্তর লেখার সময় যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে রিচেক করা উচিত তা হলো তুমি ইউনিট ঠিক লিখছো কিনা। যেমন- প্রশ্নে কোনো ডিজিটের পাশে সেন্টিমিটার লেখা আছে এবং তোমার উত্তরটিও একই ইউনিটে চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে তোমাকে খেয়াল রাখতে হবে তুমি সঠিক ইউনিটে উত্তর করেছো কি না। ইউনিট ভুল লিখলে নম্বর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি অংকের উত্তর লেখার সময় ইউনিট ঠিক লিখেছো কি না দেখে নাও।

সব প্রশ্নের উত্তর লেখোঃ

সব প্রশ্নের উত্তর করলে পরীক্ষার খাতায় শুন্য পাওয়া বা ফেইল করা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা না থাকলে বা অংক করতে করতে এক পর্যায়ে আর উত্তর না মেলাতে পারলে সেটি নিয়েই বসে থেকে সময় নষ্ট করো না। বরং পরের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে থাকো। একদম শেষে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলাতে পারোনি সেগুলো আবার চেষ্টা করো।

মাইন্ড ম্যাপিং

একটি বিষয়ে অযথা অনেক সময় নষ্ট না করে মনে মনে একটি ম্যাপ তৈরি করে ফেলো। কখন কোন সমস্যাটি কতক্ষণ সময় নিয়ে সমাধান করবে সেটির একটি মাইন্ড ম্যাপ মাথায় থাকলে খুব সহজেই অল্প সময়ে অনেক অংক করতে পারবে। গণিত পরীক্ষার খাতায় লেখার সময় এই মাইন্ড ম্যাপিং খুব কার্যকরী। একটি নির্দিষ্ট অংক সমাধান করার জন্য তুমি যদি সময় মেপে নাও, সে অনুযায়ী সেটি শেষ করো তাহলে তোমার পরীক্ষার জন্য বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই তুমি সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে।

পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল জেনে নাও...
Previus
Articles Practice with Answer. Part- 04
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম