ভাবসম্প্রসারণ “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর। অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।
মূলভাবঃ সৃষ্টির প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত মানব সভ্যতার যে বিকাশ সাধিত হয়েছে, তা নারী-পুরুষ উভয়েই যৌথ প্রচেষ্টার ফল। সম্প্রসারিত ভাবঃ সমাজের বা জাতির উন্নতির জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীরও যে বিরাট ভূমিকা রয়েছে তা অনস্বীকার্য। যে সমাজের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী সে সমাজে নারীকে উপেক্ষা করে কোনো প্রকার উন্নতি সাধন করা সম্ভব নয়। তাদেরকে ও সর্বকাজে সমদায়িত্ব নিতে হবে। ইসলাম ধর্ম সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি রয়েছে এবং শিক্ষার অধিকারসহ সকল অধিকার দান করেছে। সারা বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও কঠিন কর্তব্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ঘরে ও বাইরে তারা কর্মমুখর জীবনের স্বাদ লাভ করছে। পারিবারিক জীবনে তারা সুখ-শান্তির মাধ্যমে পুরুষের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তোলে। এতে পুরুষের কর্মরক্ষা বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় জীবনে উন্নতির পথ প্রশস্ততর হয়। সেই সাথে নারী সমাজ পুরুষের সঙ্গে জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সমাজ জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই নারী সমাজ পিছিয়ে নেই। জীবনের সর্বত্র নারীর অবদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ । শুধু পারিবারিক জীবনেই নয়, কর্মজীবনেও নারী জাতি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। মানুষ এমন এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে মেনে নিয়েছে যে,মানব সভ্যতা গড়ার পেছনে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ফলে নারীর মর্যাদাও পুরুষের সমপর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। কাউকে বাদ দিয়ে কেউ এককভাবে কৃতিত্বের দাবিদার নয়। মন্তব্যঃ নারী জাতিকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। একের দানে অন্যে পরিপুষ্ট। তাই সৎসারে পুরুষ ও নারীর সমান প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
Previus
Next
Share This Post