যুব সমাজের অবক্ষয় সম্পর্কে একটি ভাষণ তৈরি
যে কোনো দেশের চালিকাশক্তি হচ্ছে যুব সমাজ। এ যুব সমাজই পরবর্তীকালে দেশের সর্বস্তরে আসন গ্রহণ করে। তবে আমাদের যুব নৈতিক অবক্ষয় দেখে আমরা ভীত। কারণ, তারা ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই আজকের এ আয়োজন ‘যুব সমাজের অবক্ষয়’-সম্পর্কে আলোজনা সভার সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সুপ্রিয় সুুধীবৃন্দ-সকলে আমার সালাম গ্রহণ করুন।
যে জাতির যুব সমাজ শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে-গরিমায়, আবিষ্কারে, সংস্কৃতিতে, সব্যতায় অগ্রসরমান হয়, তাদের অগ্রসরতা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আর যদি, যুব সমাজ নীতিহীন হয়ে পড়ে, সন্ত্রাসে জড়িয়ে যায়, চাঁদাবাজি করে, তবে সে জাতি ধ্বংস হতে বাধ্য। আমাদের দেশের অধিকাংশ যুবক-যুবতী বেকার। তাই তারা জ্ঞাতসারে হোক আর অজ্ঞাতসারে হোক নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সুন্দর ভবিষ্যৎ এদের হাতছানি দেয় না। জীবন ও জীবিকার সাথে এদের সম্পর্ক নেই। আমাদের দেশের যুব সমাজের সামনে কোনো আদর্শ নেই তাদের উদ্দীপ্ত করার মতো কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই্ কাজেই তারা নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে কোনো কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে নি। তাই তারা বেকারত্ব নিয়ে কর্মহীন হয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তা ছাড়া রাজনীতির নামে রাজনীতিবিদগণ ব্যবহার করছে এই হতাশাগ্রস্ত যুবকদের। এভাবেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা য্বুসমাজকে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। তা ছাড়া ডিশ এন্টিনার বদৌলতে অপসংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজকে অবক্ষয়ের দিকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করছে।
এমনই এক কঠিন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই, আর অপেক্ষা নয়, বন্ধুগণ যুবকদের কর্মমুখী শিক্ষার ব্যসস্থা করে চেতনার আলো জ¦ালাতে হবে। যে কোনো মূল্যে তরুণ সমাজকে এ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব। তা না হলে আমরা হারিয়ে যাবো। শির উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যুবসমাজকে অবক্ষয় থেকে বাঁচিয়ে তুলি সেই আহ্বান রেখে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। খোদা হাফেজ।
Previus
Next
Share This Post