বৈশাখী মেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পত্র
বৈশাখী মেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পত্র
প্রিয় গাজী শরীফ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। অনেক নিদ হলো তোমার চিঠি পাচ্ছি না। তাই আজ তোমাকে লিখতে বসলাম। তুমি হয়তো জান যে, এ সময়টাতে আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে বসে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। আমাদের এলাকায়ও একটি বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। আমি আমার ছোট মামার সাথে মেলায় গিয়েছিলাম । বিভিন্ন ধরণের ঐতিহ্যবাহী জিনিস, রং-বেরঙের কাগজ,ফুল ও বেলুন দিয়ে মেলার প্রধান দরজা সজ্জিত করা হয়েছেল। দোকানিরা মেলায় বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছিল। বিভিন্ন ধরণের কুটির শিল্পজাত পন্য মেলায় বেশি চোখে পড়েছিল। বাঁশি, একতারা, পাটের তৈরি পুতুল, হাতপাখা, ঢোল, বেলুন কাঠের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী প্রভৃতি প্রায় সব দোকানেই সাজানো ছিল। কিন্তু কিছু দোকানে কাঠ ও মাটির তৈরি গয়নাও দেখা যায়। সেসব দোকানে মেয়েরা গয়না কিনতে ভিড় করে। মেলায় অনেক খেলনার দোকানও দেখা যায়। এসব দোকানে শিশুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারেরও কিছু দোকান দেখা যায়। এসব দোকানে বিভিন্ন ধরণের পিঠা , নাডু, বিন্নি ধানের খই ও কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার দোকানিরা সাজিয়ে রেখেছিল। মেলায় স্থানে স্থানে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। বাউল শিল্পীরা সেখানে নানান ধরণের বাউর ,জারি, সারি মুরর্শিদি গান করে। বিভিন্ন ধরনের আয়োজনের জন্য সব বয়সের লোকেরাই এখানে আসে। সকলের আগমনে মেলার পরিবেশ হয়ে উঠে আনন্দময়। বৈশাখী মেলা যেন সবার মিলনমেলা। এই মেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। তাই তোমাকে একবার দেশে এসে একটি বৈশাখী মেলায় বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আজ আর নয় । তোমার পত্রের প্রতীক্ষায় রইলাম।
ইতি তোমার বন্ধু গাজী শরীফ [এখানে খাম আঁকবে]Previus
Next
Share This Post