বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট- সপ্তম শ্রেণি- ১ম সপ্তাহ - ২০২১ -(উত্তরসহ) - Gazi Online School
সপ্তম শ্রেণি ।
বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট
১ম সপ্তাহ - ২০২১
যৌক্তিকতা নিরুপণ:
নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত।
উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধর।
‘সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে
দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতোমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া
পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা
অধিকার করিয়া লইয়াছে।’
উত্তরঃ উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় রচিত। অনুচ্ছেদটিতে সর্বনাম, ক্রিয়াপদ, অব্যয় ও তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো নিম্নরুপঃ
সবনাম শব্দঃ তাহা
ক্রিয়াপদসমুহঃ পাইলাম, আসিয়া, দিয়া, করিয়া, লইয়াছে।
অব্যয়পদ সমুহঃ সহিত, ইতোমধ্যে
তৎসম শব্দসমুহঃ সাক্ষাৎ, ক্ষুদ্র, হৃদয়
যৌক্তিকতা প্রমানে নিচে সাধু ও চলিত ভাষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল-
১। সাধু ভাষায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদগুলো সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে। যেমন—খাইতেছি, তাহারা ইত্যাদি।
২। সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৩) সাধুভাষায় সর্বনামের পুর্নরূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন- তাহার, যাহার ইত্যাদি।
অনুচ্ছেদটি সাধুভাষায় রচিত হওয়ার যৌক্তিকতা প্রমানঃ
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট হতে আমরাজানি, সাধুভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গ রুপ ব্যবহৃত হয়। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের সম্পূণরুপ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- তাহা, আসিয়া, পাইলাম, দিয়া, করিয়া, লইয়াছে। আবার আমরাজানি, সাধুভাষায় অনুসর্গের সম্পূণরুপ ব্যবহৃত হয়। অনুচ্ছেদটি লক্ষ্য করলে আমরা সেটি দেখতে পাই। আবার সাধুরীতিতে তৎসম শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। আলোচ্য বৈশিষ্ট্যসমুহের কারনে বলা যায় যে, প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি সম্পূর্ণ সাধুরীতিতে রচিত।
নবম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করঃ
অষ্টম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট দেখতে এখানে ক্লিক করঃ
Previus
Next
Share This Post