ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র
ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে পত্র
প্রিয় সুরভী প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। গত সপ্তাহে আমরা স্কুল থেকে শিক্ষাসফরে ঢাকার সাভারে গিয়েছিলাম। সেখানকার ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ’ দেখার সৌভাগ্য হয় আমার। এতে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ধরছি। এক নয়ননাভিয়ম দৃশ্যের মনমাতানো সৌন্দর্যের আধার ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধ’ । ঢাকা মহনগরী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সাভারের নবীনগরে এ স্মৃতিসৌধের অবস্থান। এর সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণের আয়তন ৮৪ একর। স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি পর্যায়কে স্মৃতিস্তম্ভের সাতটি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দর্শনীয় সাতটি স্তম্ভ। বিশিষ্ট স্থাপত্যবিদ মাইনুল হোসেন এর স্থপতি। ১৯৭২ সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৮২ সালে উদ্বোধন করা হয়। এই স্মৃতিস্তম্ভের সাতটি মিনার আমাদেরকে বাঙালির ঐতিহাাসক সংগ্রামগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। স্মরনীয় ঘটনাগুলো হলে ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন,’ ‘৫৪’র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ,‘৫৬’র শাসনতন্ত্র আন্দোলন,’ ‘৬২,র শিক্ষা আন্দোলন’, ‘৬৫’র ছয়দফা ,’ ‘৬৯’র গণঅভ্যুথান,’ ‘ ৭০’র নির্বাচন ও ৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধ।এখানে একটি কৃত্রিম হ্রদ, সাঁকো এবং সৌধ পরিবেষ্টিত এক মনোরম বাগান রয়েছে। এ পবিত্র স্থানে দশটি গণসমাধিও রয়েছে, যা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিদর্শন। এ স্থানে দাঁড়ালে মনে পড়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের আবেগ আর ত্রিশ লক্ষ শহিদের চরম আত্মত্যাগের কথা। সত্যি এ ঐতিহাসিক স্থানটির দৃশ্যাবলি কী যে অপরুপ তা স্বচক্ষে না দখেলে বিশ্বাস করা যাবে না। তুমিও সময় পেলে এ ঐতিহাসিক স্থানটি একবার দেখে নিও। আমি ভালো আছি। ইতি তোমার বন্ধু রাফসান
[এখানে খাম আঁকবে]Share This Post