গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তোমার ভূমিকার বর্ণনা দিয়ে বন্ধকুে পত্র
গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তোমার ভূমিকার বর্ণনা দিয়ে বন্ধকুে পত্র
প্রিয় সুরভী, প্রীতি ও শুভেচ্ছ নিও। আশা করি ভালো আছ। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি আমার গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে আমার ভুমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। প্রথমেই বলতে হয়, কাজটি খুব সহজেই করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সুদৃঢ় পরিকল্পনা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, কর্মপ্রচেষ্টা সর্বোপরি সকলের সহযোগিতায় আমার ভুমিকা ফলপ্রসূ হয়েছে। এ জন্য আমাকে প্রথমেই কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতা নিতে হয়েছে এবং প্রতিক্ষণ নিতে হয়েছে স্থানীয় এনজিও থেকে। তারপর গ্রামের নিরক্ষর লোকদের একটি তালিকা তৈরি করে তাদেরকে বোঝাতে হয়েছে সাক্ষরতার সুফল এবং নিরক্ষরতার কুফল সম্পর্কে। প্রথম প্রথম কিছুটা আপত্তি করলেও পরবর্তীতে তারা তাদের সম্ভানদের স্কুলে পাঠাতে রাজি হয়। কি›তু বয়স্করা লজ্জা ও সংকোচে নিজেরা পড়ালেখা শিখতে রাজি হয়নি। তারপর স্থানীয় মসজিদের ইমাম, স্কুল কলেজের শিক্ষক, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগিতার তাদের বোঝানো সম্ভব হয়েছে। রাজি করানো সম্ভব হয়েছে নৈশ বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহনে। তারপর তাদের সুবিধামতো সময় ও সুযোগ মোতাবেক কয়েকটি ব্যাচে ভাগ করে শুরু করি বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম। এ কার্যক্রমে আমি সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ করে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ স্যার, এনজিও কর্মী সাহানা আপা, মিতুল, কালাম, রাখি, শোভন, আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে বিভিন্নভাবে। আমি মনে করি , তোমার যদি সদিচ্ছা থকে তাহলে তুমিও এভাবে তোমার গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে পার। তোমার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। ইতি তোমার বন্ধু রাফসান
Previus
Next
Share This Post