শিক্ষাসফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে ছোট ভাইকে চিঠি
শিক্ষাসফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে ছোট ভাইকে চিঠি
প্রীয় নোমান, শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার চিঠি পেলাম এবং জানতে পারলাম তোমাদের স্কুল থেকে শিক্ষাসফরের আয়োজন করা হয়েছে। আর এ শিক্ষাসফরে তুমি অংশ নিবে কি না জানতে চেয়েছ। তুমি হয়তো জান না, জ্ঞান লাভের উপায় বা মাধ্যম হলো দুটি। একটি বই পড়া আর অন্যটি দেশপ্রেম। বই পড়ে তত্ত্বগত জ্ঞান লাভ করা যায়, জানা যায় অনেক তথ্য। কিন্তু এগুলোই যথেষ্ট নয়। কোনো কিছু নিজ চোখে দেখে অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। শিক্ষাসফর হচ্ছে বাস্তবতার নিরিখে জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে জীবনের বিকাশকে স্বচ্ছন্ন করে তুলতে শিক্ষাসফরের বিকল্প নেই। শিক্ষাসফরে ঐতিহাসিক স্থান দেখার পাশাপাশি এর ইতিহাসকে খুব কাছে থেকে জানা যায়। বইয়ের অস্পষ্ট ধারণাটি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে ঐতিহাসিক স্থানে গেলে। তা ছাড়া নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনায় একটা একঘেয়েমি চলে আসে। ফলে পড়াশোনায় সর্বতোভাবে মনোনিবেশ সম্ভব হয় না। শিক্ষাসফরে গেলে এই সমস্যা যেমন লাঘব হয়, তেমনি বিচিত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে নানাবিধ জ্ঞান লাভ করা যায়। মোট কথা অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখা এবং অচেনাকে চেনার ক্ষেত্রে শিক্ষাসফরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ কারণে শিক্ষাসফরকে নিয়মিত শিক্ষা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই মনে করা হয়। আজ আর নয়। ভালো থেকো। ইতি তোমার বড় ভাই গাজী শরীফ
[এখানে খাম আঁকবে]Previus
Next
Share This Post