গ্রামে দারিদ্র্য বিমোচনে তুমি কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পার তা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পত্র
গ্রামে দারিদ্র্য বিমোচনে তুমি কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পার তা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পত্র
প্রিয় সুরভী, প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। তুমি জানো, বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। এ দেশে যেমন সামাজিক সমস্যা রয়েছে তন্মধ্যে দারিদ্র্য প্রধান। গ্রাামপ্রধান বাংলাদেশের আর দশটা গ্রামের মতো আমাদের গ্রামেও সহায়-লম্বলহীন মানুষের সংখ্যা অনেক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ তাদের নূর্নতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারছে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার গ্রামের দারিদ্র মানুষের জন্য আমি কিছু করব। কীভাবে এবং কী করব সে সম্পর্কেই আজ তোমাকে লিখছি। আমাদের গ্রামের দারিদ্রের জন্য কোনো একক কারণ দায়ী নয়। বরং বহুবিধ করণেই এ গ্রামে দারিদ্র্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে মহজনী ঋণ প্রথা, অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থা , শিক্ষায় অনগ্রসরতা, নিরক্ষতা ও অজ্ঞতা, বেকারত্ব, ব্যস্তবমুখী পরিকল্পনার অভাব, মহিলাদের কর্মসংস্থানের অভাব ইত্যাদি এ অবস্থার জন্য দায়ী। এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে এ গ্রামের দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে। আর এ জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- গ্রামের সকলের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে গ্রামের শিক্ষিত, তরুণ ও উদ্যমী কয়েকজনকে নিয়ে একটি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করব এবং গ্রামের সব ছেলেমেয়ে যাতে নিয়মিত স্কুলে যায় সে ব্যবস্থা করব। আধুনিক ও উন্নত চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের ধারনা দেব, মহাজনী ঋণের কুফল সম্পর্কে সকলকে সচেতন করব। গ্রামবাসীকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কিছু কর্মকান্ড, যেমন-হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, ছাগল পালন, অনাবাদি ও পতিত জমিতে বিভিন্ন ফলমূলের চাষ ইত্যাদিতে সম্পৃক্ত করব। মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তাদেরকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে নিয়োজিত করব। আমার বিশ্বাস গ্রামবাসীকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে বের করে আনতে পারলে এবং একটি বাস্তবমুখী পরিকল্পনা থাকলে আমার এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন অসম্ভব কিছু নয়। তুমি তোমার মতামত জানালে কৃতার্থ হব। আজ আর নয়। ভালো থেকো। ইতি তোমার বন্ধু গাজী শরীফ
[এখানে খাম আঁকবে]Previus
Next
Share This Post